রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালী নয়, বরিশাল পর্যন্ত রেলওয়ের প্ল্যান : এম সাখাওয়াত হোসেন হরিজনদের উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে – মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত মাছধরা ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরন, অগ্নিদগ্ধ- ৩ জেলে কুয়াকাটায় জেলের জালে ৩০ কেজি ওজনের “ট্রেভ্যালি ফিশ” ২৪ হাজারে বিক্রি সাপ্তাহিক ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল মহিপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি ট্রলিং বোটসহ ১৪ জেলে আটক চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয়দের মূল্যায়ন করা হবে ।। নেছার উদ্দিন জাফর বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজের অনিয়মের অভিযোগ। কাজ বন্ধ কুয়াকাটায় এক ইলিশ বিক্রি ৮ হাজার ৭৫০ টাকা কলাপাড়ায় মানবাধিকার কমিশন’র কমিটি পূর্ণগঠন সভা নির্যাতিত ত্যাগীরাই আগামীতে নেতৃত্বের দাবীদার ।। নেছার উদ্দিন জাফর বাউফলে ঘাতক ট্রলি আবারও কেড়ে নিলো একটি তাজা প্রান, চালক আটক
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: বরিশাল বিভাগে বাড়ানো হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: বরিশাল বিভাগে বাড়ানো হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা

Sharing is caring!

ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে জনসাধারণকে রক্ষার জন্য বরিশালসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৯ মে) ভোর থেকে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী জানান, বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের সময় ২ হাজার ৪ শত আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ লাখ মানুষকে জায়গা দেয়া হয়েছিলো কিন্তু এবার করোনার কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার আরো জানান, উপকূলীয় এলাকায় বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ বাধ রয়েছে, সেসব এলাকার মানুষকে ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যেন আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছে যায়, সে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থাকার উপযোগী এবং পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।

এদিক এ বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, নদী ভাঙ্গনের ব্যপারে আমরা লক্ষ্য রাখছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে হবে নদী ভাঙ্গন রোধে বেরিবাধ একটি বিশাল প্রকল্প, এটা আজ বলেই কাল শুরু করতে কিংবা শেষ করতে পারি না।  উপকূলীয় এলাকার জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে, প্রকল্প আমাদের আছে এবং আমরা করবো কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা যেখানে ভাঙ্গণ হচ্ছে সেইসব এলাকা মোটামুটিভাবে সংরক্ষন করার চেষ্টা করি। কিন্তু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আর যেদিকে তাকাবেন নদীও তীর ভাঙ্গতে থাকে। এটা রোধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে ছোট ছোট ভাঙ্গন হতেই থাকবে যা নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই দোআ করি যেন আম্পান আমাদের দিকে না আসে। তারপর যদি আসে আমরা প্রস্তুত আছি যেন বেশ আকারে ক্ষয়ক্ষতি না হয়ে সীমিত আকারে হয়। আমাদের প্রকৌশলীরা যে যার এলাকায় রয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার যে সব জায়গাতে বেরিবাধগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেসব জায়গার তালিকা প্রকৌশলীর কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। নাজুক অবস্থায় থাকা বেরিবাধগুলো নিয়ে অনেক স্থানে কাজও করছেন প্রকৌশলীরা। আশাকরি বন্যা আসার আগেই আমরা বেরিবাধগুলো সংস্কার করতে পারবো। এখন ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে এলাকাতে আসবে, সেসব এলাকার লোকজনকে আমরা সাবধান করেছি এবং আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি জনগনকে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে এটি যদি আঘাত হানে, তা অতি প্রবল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD